Скачать книгу

হঠাৎই থেমে গেল, কিওকোর মনে হল দুটো চোখ যেন ওর দিকে তাকিয়ে রয়েছে।

      ঝটকা হওয়ায় কিওকোর চুল উড়ে-উড়ে আলোয় মাখা ওর সোনালি গালের উপর পড়ছিল যখন ও মাথা তুলে উপরে ভবনটার দিকে তাকাল সেই চোখ দুটোর খোঁজে যা তাকে দেখছিল বলে তার মনে হচ্ছিল, কিন্তু সে কারো দেখা পেল না। গত কয়েক বছরে সে অদ্ভুত কোন কিছুর অনুভূতি পাবার ক্ষমতা লাভ করেছিল, এবং সে বুঝতে পারছিল নিশ্চিত কেউ আছে... তাকে দেখছে। সে তার স্পর্শ অবধি পাচ্ছিল।

      কিওকোর মনে হয়েছিল উপরের দিকে একটা জানালায় সে একটা গতিবিধি দেখেছিল, কিন্তু খেয়াল করে তাকানোর পর ও দেখল ওটা খালি, ওখানে কেউ-ই নেই। কিওকো একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল এই ভেবে যে দুশ্চিন্তার কারণ বোধ হয় আর নেই। ও আলতো করে ওর নিচের ঠোঁট কামড়ে ধরে হতাশাটা কাটিয়ে ওঠার অপেক্ষা করল। এইবার সে তামাকে ধরে ফেলল কারণ ততক্ষণে সে দরজার মধ্যে দিয়ে প্রবেশ করেছিল। দু’জনেই স্থির হয়ে চারিদিকটা একবার দেখল।

      "এটা দারুণ জায়গা,” তামা উপরের দিকে তাকিয়ে তারপর একটু ঝুঁকে ভারি গলায় ফিসফিস করে বলল। “তোর হয়ত একটা মানচিত্রের দরকার হবে... তোকে যতটুকু চিনি, না হলে তুই এখানে পথ হারিয়ে ফেলবি।”

      কিওকো সম্ভবত ওর এই সব কথা শুনলই না, কারণ ওর চোখ দুটো তখন হলের ভিতের দিকে ঘোর-ফেরা করছিল। যে ঘরটার মধ্যে ওরা দাঁড়িয়েছিল সেটা কিছু না হলেও তিনতলা সমান উঁচু ছিল এবং সিঁড়িটা ঘুরে-ঘুরে অন্য তলাগুলো অবধি যাচ্ছিল। ঘরের একদিকে একটা বিশালাকার গ্রন্থাগার ছিল, আর অন্য দিকটা দেখে একটা মনোরোঞ্জনের স্থান বলে মনে হচ্ছিল, আর ঠিক মাঝখানটায় ছাদ থেকে একটা ভীমকায় ঝাড়বাতি ঝুলছিল।

      “হে ভগবান, ওটা যেন ধপাস করে পড়ে না যায়,” হাওয়ায় উড়তে থাকা চুল ঠিক করতে-করতে সে বলল।

      ঝাড়বাতিটার ঠিক নিচেই বহুমূল্য আসবাবপত্রের সাজানো বসার জায়গা ছিল।

Скачать книгу